সর্বশেষ আপটেড

প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি করে ঘটনা

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৮ম শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি করে ঘটনা ও পরীক্ষণ।

৮ম শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

নবম সপ্তাহের বাংলা এর সাথে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান পাঠ্যবই থেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্ট।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রথম এসাইনমেন্ট পরমাণুর গঠন, পারমাণবিক সংখ্যা, ভরসংখ্যা ও আইসোটোপ দেয়া হয়েছিল চতুর্থ সপ্তাহে।

নবম সপ্তাহে বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ঃ ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রসেদ্বন থেকে দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক রচিত অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের নবম সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আলোকে অধ্যয়ন করার পর এই এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে।

শ্রেণিঃ অষ্টম, বিষয়ঃ বিজ্ঞান, এ্যাসাইনমেন্ট নম্বরঃ ২

অধ্যায় ও শিরোনামঃ তৃতীয়: ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন; পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ ও বিষয়বস্তুঃ পাঠ ১-২: ব্যাপন, পাঠ-৩: অভিস্রবন, পাঠ ৪: অভিস্রবণের গুরুত্ব, পাঠ ৬: প্রস্বেদন, পাঠ ৭: প্রস্বেদনের গুরুত্ব;

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ তোমার প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি করে ঘটনা উল্লেখ করো। ব্যাপন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়া থেকে যে কোন একটির জন্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে লেখ।

সংকেত সমূহঃ

ক. ব্যাপন এর বৈশিষ্ট্য,

খ. অভিস্রবণ এর বৈশিষ্ট্য,

গ. ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর পরীক্ষা (পানিতে ভেজানো, রান্নার গন্ধ ছড়িয়ে পড়া, ফুড কালার পানিতে ছড়িয়ে পড়া এরূপ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ)

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ

  • ১. পাঠ্যপুস্তকে তৃতীয় অধ্যায়ের ১ থেকে ৪ পাট থেকে আহরিত জ্ঞানকে পরিবেশের সাথে সংযুক্ত করে এই অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।
  • ২. সহজলভ্য উপকরণ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে হবে।
  • ৩. পরীক্ষাটি যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় সেটি বিবেচনায় রাখতে।

৮ম শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর

প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি করে ঘটনা

ব্যাপনের বৈশিষ্ট্য

তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলো স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যপ্ত হয়ে উচ্চ ঘনত্বের এলাকা থেকে নিম্ন ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলা হয়। অর্থাৎ যতক্ষণ দুই এলাকায় ঘনত্ব সমান না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাপন চলতে থাকে।

ব্যাপনকারী পদার্থের পরমাণুর গতি শক্তির প্রভাবে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয় যাকে ব্যাপন চাপ বলে।

  • ডিফিউশন হল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে পদার্থের চলাচল প্রক্রিয়া।
  • এ প্রক্রিয়ায় উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্নের দিকে চলে।
  • এটি দরকারী অণুগুলির চলাচলে সহায়তা করে।
  • জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যাপন প্রক্রিয়া ঘটে। যেমন- উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের সময় বাতাসের কার্বন-ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। এই অত্যাবশ্যকীয় কাজ ব্যাপন দ্বারা সম্পন্ন হয়।

আমার প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপনের দুটি ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  1. ঘরে সেন্ট বা আঁতর ছড়ালে বা ধুপ জ্বালালে সমস্ত ঘরে তার সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। এটি ব্যাপনের কারণে ঘটে থাকে। ধূপের ধোঁয়া ও সেন্টের অণুগুলো অধিক ঘনত্ব সম্পন্ন হওয়ায় সম্পূর্ণ ঘরে কম ঘনত্ব সম্পন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সমস্ত ঘর সুবাসে ভরে যায়।
  2. রুম ফ্রেশনারের স্প্রে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে যার মাধ্যমে আমরা গন্ধ অনুভব করতে পারি।

অভিস্রবণের বৈশিষ্ট্য

একই দ্রব্য ও দ্রাবক বিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক থাকলে যে ভৌত প্রক্রিয়ায় দ্রাবক কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্ব দ্রবণের দিকে ব্যাপিত হয় তাকে অভিস্রবণ বলে। একই বায়ুমণ্ডলীয় চাপ ও তাপ মাত্রা বিশিষ্ট একটি দ্রবণ ও তার বিশুদ্ধ দ্রাবক যদি একটি বৈষম্যভেদ্য দ্বারা পৃথক করে রাখা যায় তবে বৈষম্যভেদ্য পর্দা ভেদ করে বিশুদ্ধ দ্রাবক এর অধিক ঘন দ্রবণে প্রবেশকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে অধিক ঘনত্বের দ্রবণের দিক হতে যে পরিমাণ চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় তাকে উক্ত দ্রবণের অভিস্রবণিক চাপ বলে।

  • অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় প্লাজমা পর্দা দিয়ে পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন খনিজ লবণ কোষের মধ্যে প্রবেশ করে বা বাইরে আসে।
  • কোষের মধ্যে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া গুলো কে সচল রাখার জন্য অভিস্রবণ এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • এ প্রক্রিয়ার দ্বারা উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ শোষণ করতে পারে।
  • কান্ড ও পাতাকে সতেজ এবং খাড়া রাখতে সাহায্য করে।
  • তাছাড়া প্রাণীর অন্ত্রে খাদ্য শোষিত হতে পারে।

আমার প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে অভিস্রবণ এর দুটি ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  1. কিসমিস এর ভেতরের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে কিসমিস গুলো কুঁচকে যায়। কিসমিস গুলো পানিতে রাখলে পানি শোষণ করে সেগুলো ফুলে ওঠে। কারণ কিশমিশের ভেতরে শর্করার গাঢ় দ্রবণ একটি পর্দা দ্বারা পানি থেকে পৃথক থাকে। ফলে কিশমিশের মধ্যে পানি প্রবেশ করলে দ্রাবক পানি তার কম ঘনত্বের এলাকা থেকে বেশি ঘনত্বের এলাকার দিকে ছড়িয়ে পড়ে তাই কিসমিস গুলো ফুলে ওঠে।
  2. একটি ফানেলের চওড়া মুখ মাছের পটকায় ঢুকিয়ে তাকে পানি দ্রবণে রেখে, ফানেলের চও্ড়া মুখে চিনির দ্রবণ নিলে দেখা যাবে কিছুক্ষন পর চিনির দ্রবণ ফুলে উঠছে। এতে বুঝা যায় অভিস্রবণ ঘটছে। কারণ এক্ষেত্রেপফটকা অর্ধভেদ্য পর্দা হিসেবে কাজ করে। তখন পানি তার কম ঘনত্বের এলাকা থেকে বেশি ঘনত্বের এলাকার দিকে ব্যাপিত হয়। ফলে চিনির দ্রবণের উচ্চতা বেড়ে যায়।

অভিস্রবণ এর একটি পরীক্ষা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

কাজঃ অভিস্রবণের পরীক্ষা।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ থিসল ফানেল, মাছের পটকা, বিকার, চিনির দ্রবণ, স্ট্যান্ড ক্ল্যাম্প।

পদ্ধতিঃ থিসল ফানেলের চওড়া মুখটি মাছের পটকায় ঢেকে সুতা দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে এবং বিকারটিতে অর্ধেক পানি নিতে হবে। বিকারে পানি নেওয়ার পর থিসল ফানেলের নল দিয়ে চিনির গাঢ় দ্রবণ ঢালতে হবে। এবার ফানেলের চওড়া মুখটি বিকারের পানিতে সম্পুর্ন ডুবিয়ে ফানেলটিকে ক্ল্যাম্পের সাহায্যে স্ট্যান্ড এর সাথে আটকে রাখতে হবে। এরপর ফানেলের নলে মার্কার পেন দিয়ে চিহ্নিত করে পরীক্ষা ব্যবস্থাটিকে একটা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিতে হবে।

পর্যবেক্ষণঃ কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে থিসল ফানেলের নলের দ্রবণের তল উপরের দিকে উঠে গেছে। আরও কিছুক্ষণ পর দেখা গেলো পানির তলার উপরে উঠছে না।


সিদ্ধান্তঃ এ থেকে বুঝা যায় উক্ত প্রক্রিয়াটি অভিস্রবণ। কারণ এক্ষেত্রে পটকা অর্ধভেদ্য পর্দা হিসেবে কাজ করে, তখন পানি তার কম ঘনত্বের এলাকা থেকে বেশি ঘনত্বের এলাকার দিকে ধাবিত হয়, তাই চিনির দ্রবণের উচ্চতা বেড়ে যায়।
সুতরাং প্রক্রিয়াটি অভিস্রবণ।

এই ছিল তোমাদের ৮ম শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর- প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি করে ঘটনা।

আরো দেখুন-

প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এবং বাংলা নোটিশ ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করার জন্য  BanglaNotice.com, SoftDows.com এবং dshe.gov.bd এর ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সেইসাথে এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলার নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

2 Comments

  1. ভাই আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে লিখাগুলো কপি করা যাচ্ছে না কেন? প্লিজ একটু জানাবেন

    1. কপি করা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের করা কনটেন্ট চুরি হয়ে যাচ্ছে তাই…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ